এ এক স্বাসরুদ্ধকর পূর্নিমা ।
পাঘমানের পাহাড়ি ঢালের পূর্বমুখ থেকে যেন খুলে গেছে জান্নাতের দরজা।
হিন্দুকুশের মাথার উপরের শূভ্র বরফের আয়নায় উপুড় হয়ে নিজের চেহারা দেখছে রূপবতী চাঁদ।
নৈঃশব্দ্য বাড়িয়ে দিচ্ছে অচেনা রাতচরা পাখি আর দূরে কোথাও কেঁদে ওঠা পাহাড়ী নেকড়ে।
উপত্যকার ফির গাছের উপর যে বাতাস আছড়ে পড়ছে, সে বাতাস প্রাগৈতিহাসিক।
এ বাতাস ধারণ করে আছে কতশত গ্রিক, পারসি, আরব, মঙ্গল, তুর্ক আর তাতার যোদ্ধার তেজী ঘোড়ার গরম নিঃশ্বাস আর নিপিড়িত মানুষের দীর্ঘশ্বাস।
এই মধ্য এশিয়ান জোছনায় সিল্করোড ধরে নিঃশব্দ ছায়া ফেলে
পাথরে খুরের আওয়াজ তুলে চলে যায় যে ক্যারাভ্যান –
তার নাম ইতিহাস।
এই চাঁদ, এই জোছনা, এই মায়াময় পৃথিবী যেন মৃত্যুর মত শীতল এক গোপন সৌন্দর্য, যা পরিব্রাজকের দৃষ্টিকে বিভ্রম করে দেয়………
এটা এমনই এক ঘুম কেড়ে নেওয়ার রাত।