উপন্যাস
লেখক: লতিফুল ইসলাম শিবলী
প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০২২
একজন মাসীহ, ত্রাণকর্তা বা নেতাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছে পৃথিবী।
বে-ইনসাফ আর জুলুমেপূর্ণ পৃথিবীর শেষ সময়ে, তাঁর নেতৃত্বে ঘটবে শেষ মহাযুদ্ধ। প্রধান সব ধর্মগ্রন্থগুলোর ভবিষ্যৎবাণীতে সেই মহাযুদ্ধকে বলা হয়েছে – মালহামা, মহাপ্রলয়, আরমাগেডন ।
সত্য মিথ্যার মাঝে শেষ মিমাংসা হয়ে যাবে এই যুদ্ধে ।
মাসীহ আসবেন–
তাই আগামী পৃথিবীর শাসন কর্তৃত্ব নিজেদের হাতে রাখার জন্য আবর্তিত হচ্ছে বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি ও সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।
শুভ এবং অশুভ শক্তির মাঝে প্রাধান্য বিস্তারের গোপন লড়াইয়ের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে পৃথিবীর প্রতিটি দেশ। প্রকাশ্য যুদ্ধের আগে এখন এই গোপন যুদ্ধটাই – The beginning of the End.
সেই গোপন যুদ্ধের খবরটা জেনে যায় এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পত্রিকার এক অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তার পত্রিকা রিপোর্টটা ছাপেনি। উপরন্ত এক রহস্যময় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।
তদন্তে নেমে এক পুলিশ অফিসার জানতে পারে এক ভয়ঙ্কর – সত্য ।
সেটা এমন সত্য, যে জানে, সে ডেকে আনে তার নিজের মৃত্যু।
The fiction based on fact.
পাঠক প্রতিক্রিয়া
যার বই পড়লে আমার মনে হয়, আমি তার লেখা কোনো কবিতা পড়ছি। এটা সেই প্যারিসের চিঠি থেকেই।
read more...
তিনি Shibli ভাই। লতিফুল ইসলাম শিবলী। যাকে আমি বলি বাংলা সাহিত্যের সম্ভাব্য বিপ্লবের মহানায়ক। যাকে কোথাও তার লেখা এবং আইডিওলজি নিয়ে আপোষ করতে দেখিনি। তিনি তাই লিখেন যা তিনি বিশ্বাস করেন।
কিছুক্ষণ হয় পড়া শেষ হলো উনার লিখা ২০২২ বইমেলায় প্রকাশিত উপন্যাস “অন্তিম-দ্য বিগেইনিং অব দ্য এন্ড”। বরাবরের মতোই বইটি আমার কাছে উপভোগ্য ছিলো।
বরাবরের মতোই অন্তিমেও ছিলেন একজন ইমাম সাহেব। যা আমরা বিগত বইগুলোতে যেমন, আসমান বা ফ্রন্টলাইনে পেয়েছিলাম। তবে এবারের ইমাম কিছুটা ভিন্ন। পাঠক যদি একটু গভির ভাবে পর্যবেক্ষণ করে, তাহলে হয়তো এই ইমাম সাহেব এর মতো ইমাম সাহেব বাস্তবেও খুজে পাবেন।
শিবলী ভাই উনার সব বইতেই ফ্ল্যাপে লিখেন, ফিকশন বেইজড অন ফ্যাক্ট। এটাতেও এর ধারাবাহিকতা আছে। সার্বিক পরিস্থিতি অবলোকন করলে এই বইয়ের অনেক কিছুর সাথেই আপনি বাস্তবের অনেক কিছুই রিলেট করতে পারবেন।
অনেকেরই একটা অভিযোগ থাকে শিবলী ভাইয়ের বইয়ের এন্ডিং নিয়ে। এটা নিয়ে অবশ্য আমার কোনো অভিযোগ নেই। কারন আমি জানি গল্প কখনোই শেষ হয়ে যায়না। গল্পের কোনো এন্ডিং হয়না। এটা বহমান অনন্তকালের জন্য।
অনেকেই দেখছি তারা অন্তিমের সিক্যুয়েল চাচ্ছেন, কিন্তু আমি একদমই চাচ্ছি না। কারন যারা সিক্যুয়েল চাচ্ছেন তারা আসলে একটা নাটকীয় এন্ডিং চাচ্ছেন। অন্তিমের সাথে কোনো ধরনের নাটকীয় এন্ডিং মানানসই হবে না বলেই আমি মনে করি। আশা করবো শিবলী ভাই এটা করবে না।
আফজাল তার আপন পথেই হাটবে… তাকে না হয় আমরা বিরক্ত না করি…
সব কথার শেষ কথা হচ্ছে, শিবলী ভাইয়ের সবকটা বই আমার পড়া হয়ে গেলেও, আমি এখনো “দারবিশ”-এই আটকে আছি।
যারা শিবলী ভাইয়ের আসমান, রাখাল, ফ্রন্টলাইন বা অন্তিম পড়ছেন বা পড়েছেন, তাদের প্রতি আমার আহ্বান রইলো আপনারা দারবিশ আর দখল বই দুটিও পড়ুন।
সবশেষে ধন্যবাদ, বাংলা সাহিত্যের সম্ভাব্য বিপ্লবের মহানায়ক লতিফুল ইসলাম শিবলী, জাতিকে আরও একটি ভাবনার খোরাক উপহার দেয়ার জন্য।read less
বইয়ের রিভিউ লেখার সামর্থ্য আমার ছিটেফোঁটাও নেই। কিন্তু “অন্তিম বইটা পড়ার পর নিজের অনুভূতিটা প্রকাশ না করলে হয়তো অবিচার হবে। তাই আমার ভাঙ্গাচুরা খুচরো শব্দে কিছুটা বলি।
read more...
বইটা শুরু করার পর যেনো একদম গভীর নিমগ্নতায় ডুবে যাই। ইচ্ছে হয়েছিল এক নিশ্বাসে পুরোটা পড়ে নেবার। রহস্যঘেরা বইটির প্রতি শব্দ যেন তীব্র উৎকণ্ঠা আর অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে। চিন্তার জগতে এক অদ্ভুত রকমের খোরাক তৈরি হয়। রহস্য উন্মোচনে শেষ পাতা অব্দি কৌতুহল আর আগ্রহ অদম্য ক্ষিপ্রতায় ছুটতে থাকে।
শেষের শুরু! কি নিপুণ দক্ষতায় লেখক এই সাহসীক উপন্যাস চিত্রায়ণ করেছে, তা না পড়লে বুঝানো সম্ভব না। যেনো চোখের সামনে ভেসে উঠে সব চিত্র!
সেই ভ্যানওয়ালা ইমাম ইউসুফ মাহমুদের কথাগুলো চিন্তার শত জটিল জট খুলে দেয়।
কী সেই রহস্য, যা মৃত্যুকে অনিবার্য করে? কী সেই মহাশক্তিধর গোপন সংগঠন, যা পুরো বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে?
আমাদের প্রচলিত প্রেমগল্প আর আবেগে ভরপুর উপন্যাস ধারার বাহিরে লেখক যেভাবে এক মহাসত্য আমাদের হাতে উপন্যাস রূপে তুলে দিলেন, তার অনবদ্য এই সাহসীকতা নিশ্চিত অর্থে পাঠকের ভাবনার দুয়ারে এক নতুন নব উদ্যম তৈরি করবে।
গুরুত্বপূর্ণ বইটি প্রতিটি মানুষের নিজের জন্যই পড়া দরকার। হয়তো জীবনে অনেক প্রভাব ফেলবে।
বেঞ্জুর হাত কোন পর্যন্ত? মিশু এতো গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্বেও কেন তাকে পিয়েতা খুন করে? নাকি পিয়েতা-ই তার রূপসৌন্দর্য্য আর সরলতার আড়ালে তাদের আরো গুরুত্বপূর্ণ কেউ?
আফজাল কি আর ফিরতে পারে দেশে? যে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক পুরো বিশ্ব নিয়ন্ত্রণে তারা কি নেপাল থেকে আফজালকে প্রতিহত করতে পারেনা? কেননা আফজালের মৃত্যু তো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য? আরো অনেক রহস্য নিয়ে গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি দ্বিতীয় খন্ড পেতে।
শিবলী ভাইয়ের সাথে আমার পূর্ব পরিচয় বা চেনাজানা নেই। বই মেলাতেই প্রথম উনাকে দেখা। এবং কোন এক অজানা আগ্রহে উনার লেখা এবারের প্রকাশিত ” অন্তিম” বইটা কিনে নেই। এটা পড়ার পর এখন উনার সবগুলো বই পড়ার প্রতি এক তুমুল আগ্রহ প্রস্তুতি নিয়ে চলছে।
অনেকদূর এগিয়ে যান ভাই!read less
“অন্তিমের” অপেক্ষা শেষে হাতে পেলাম।Thank you apu.(Fahida Farjana).
শ্রদ্ধেয় লেখক লতিফুল ইসলাম শিবলী প্রতিবছরই চমৎকার একটা বই আমাদের উপহার দেন।সবসময় নতুনভাবে আশেপাশে ঘটে যাওয়া প্রবহমান গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা গুলো (যা আমরা উপলব্ধি করি না গুরুত্ব দেই না) চমৎকার করে উপস্থাপন করেন। নিপুন দক্ষতায় আমাদের কাছে পৌছে দেন।read more...
অন্তিম- The beginning of the end.
সত্যি শেষ সময়ের শুরু হয়ে গেছে। ঘনিয়ে আসছে মহাপ্রলয়ের সময়।
অন্তিম থ্রিলিং,তথ্য আর রহস্যঘেরা এক অসাধারণ উপন্যাস।বইটি শুরু করার পর থেকে আমি অন্য কিছু ভাববার অবকাশ পাইনি। একবসায় পড়তে হয়েছে। এর পর কি হবে…শেষ পর্যন্ত ও ভেবছি এর পর কি!
লেখকে আন্তরিক ধন্যবাদ ❤️।এমন জটিল বিষয় গুলো সহজ করে আমাদের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য।লেখকের জন্য অনেক অনেক দোয়া।
অন্তিম পড়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর, সমস্যার সহজ সমাধান পেয়েছি।যা ব্যক্তি জীবনে প্রভাব পড়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ চমৎকার বইটি সকলের নিজের জানার তাগিদেই পড়া প্রয়োজন।
(অন্তিম পড়ে আমার অনুভতিগুলো সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারলাম না শব্দ ভান্ডারে র সল্পতায়)।উপন্যাস শেষ হওয়ার পরও বুঝতে পারি নি যে শেষ হয়েছে।জামানের পরবর্তী সময় সম্পর্কে জানার আগ্রহ হচ্ছে।অন্তিমের ২য় অংশের অপেক্ষায় রইলাম।
শ্রদ্ধেয় লেখকের জন্য মন থেকে দোয়া রইল।আপনার লিখা ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে। আর সকলের হৃদয় স্পর্শ করুক।।read less