আমার শেষ হলে
এর পর তুমি কথা বলবে
আমি মুগ্ধ শ্রোতা শুনতে শুনতে
রাত ভোর সন্ধ্যা কেটে যাবে
তুমি বলতে বলতে এক সময় তোমার সব কথা শেষ হয়ে যাবে।
আমাদের দুজনের মাঝে এতক্ষণ চুপ করে কথা শুনছিল তৃতীয় জন,
ওর নাম- মৌনতা
এরপর তার পালা
আমাদের দুজনকে শান্ত আর নিরব করে দিয়ে
কথা বলতে থাকবে মৌনতা
হাতে হাত রেখে মৌনতার মুখরিত কথামালা শুনতে শুনতে
বিকেল গড়াবার আগেই আমাদের কেটে গেছে কয়েকশ বছর……
এরপর পালা করে কথা বলবে – ঘাস
তারপর প্রজাপতি
তারপর দোয়েল
তারপর ঝি ঝি পোকা
তারপর কুয়াশায় ভেসে ভেসে নেমে আসবে দুরের নক্ষত্র
এসেই বসে পড়বে ঘাসের ডগায়
সখ্যতা করে নেবে শিশির বিন্দুর সাথে।
নক্ষত্র আর শিশির বিন্দুর মাঝে
আমরা তখন শুধুই মুগ্ধ স্রোতা।
এরপর সবাই নিরব হয়ে গেলে
কথা বলা শুরু করবে আমাদের সেইসব দীর্ঘশ্বাসেরা
সে সব কথা শুনতে শুনতে তোমার দুগাল বেয়ে গড়িয়ে নামবে জল…
ঠিক তখনি দলবেঁধে কথা বলতে নামবে বৃষ্টিরা
বৃষ্টি আর কান্নার জল মিশে কথা বলতে বলতে
গড়াতে থাকবে নদীর মত-
কলকল কথা বলতে বলতে আর ছুটতে ছুটতে
কথাগুলো পৌঁছে দিয়ে আসবে- সমুদ্রে।
যেখানে দীর্ঘশ্বাস কান্না আর বৃষ্টিদের
কথাগুলো জমা থাকে……
কতটুকু কথা হল সেটা কথা নয়,
এরপরেও কথা থাকে-
আর আমাদের সেইসব কথারাই- কথাদের ইতিহাস।